শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে কেন দেরি?

এনটিআরসিএর কার্যালয়
এনটিআরসিএর কার্যালয়  © ফাইল ছবি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে কয়েকজন পরীক্ষক এখনও খাতার নম্বর সম্বলিত ওএমআর শিট জমা না দেয়ায় ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাই অক্টোবরের শুরুতে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। 

বুধবার (২ অক্টোবর) এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

সরেজমিনে এদিন এনটিআরসিএর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন প্রধান পরীক্ষক ওএমআর শিট জমা দিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদেরও লিখিত পরীক্ষার ফল সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। 

জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অক্টোবরের শুরুতেই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা ছিল। তবে কয়েকজন পরীক্ষক এখনও খাতা দেখা শেষে নম্বর সম্বলিত ওএমআর শিট জমা দেননি। তাই প্রধান পরীক্ষকরাও ওএমআর শিট এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা দিয়ে যাননি। ফলে ফলাফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাই ফল প্রকাশে কিছুটা দেরি হচ্ছে। 

তারা আরও জানান, যেসব খাতার ওএমআর শিট এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এসেছে সেগুলোর কাজ শেষের দিকে। বাকি ওএমআর শিট পাওয়া গেলেই ফল প্রকাশ করা যাবে। 

কর্মকর্তারা বলছেন, অক্টোবরের মাসের প্রথমার্ধে অর্থাৎ ১৫ অক্টোবরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে পরীক্ষকরা খাতা জমা দিতে আরও দেরি করলে ফল প্রকাশের কার্যক্রম দুই-তিনদিন পেছাতে পারে।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পরীক্ষার ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে হয়তো এ বিষয়ে বলা যাবে। ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। তবে আমরা দ্রুত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে চাই।

অক্টোবরেই লিখিত ভাইভা শুরুর পরিকল্পনা এনটিআরসিএর আছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

জানা গেছে, এক হাজার ৭০০ এর বেশি পরীক্ষক ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেছেন। একই খাতা দুইজন করে পরীক্ষক মূল্যায়ন করেছেন। প্রত্যেক পরীক্ষক খাতা মূল্যায়নের জন্য ১৫ দিন করে সময় পেয়েছিলেন। গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি খাতা পরীক্ষকদের কাছে বিতরণ শুরু হয়েছিল। তবে কয়েকজন পরীক্ষক খাতা নিয়ে যেতেই দেরি করেছিলেন। খাতা মূল্যায়ন শেষে ১৬৫ জন প্রধান পরীক্ষক খাতা এনটিআরসিএর কার্যালয়ে জমা দিচ্ছেন।

এর আগে, ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জুলাই দেশের আট জেলায় সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৩ জুলাই কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে তিন লাখ প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। 

গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তাতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।


সর্বশেষ সংবাদ