একাধিক নিবন্ধনধারীদের দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিবন্ধন সনদ অর্জনকারী একাধিক নিবন্ধনধারীর দাবি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে একাধিক নিবন্ধনধারীর দাবি বাস্তবায়নে নির্দেশনা জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে এবং পরে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা, ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারী এবং ১-১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আবেদনের সুযোগ এবং নিয়োগের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন। বিভিন্ন সময় হওয়া এসব আন্দোলনকারীদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। সম্প্রতি এনটিআরসিএ’র এসব সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা প্রশাসনের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্ব, ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারী এবং ১-১২তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে এসব প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশে কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্ব, ১-১২তম নিবন্ধনধারী এবং ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীদের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের কোনো বাধা থাকবে না। প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো সুপারিশে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অসংখ্য শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই সংকট দূর করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দরকার। অনেক নিবন্ধনধারী রয়েছেন, তবে বয়সের বাধা এবং সনদের মেয়াদ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তারা চাকরি পাননি। একাধিক নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া হলেও এ পদগুলো পূরণ করা কঠিন।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধনধারীদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। এই সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে শুনেছি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টা সুপারিশে সম্মতি দিলে শিক্ষক সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি অনেক নিবন্ধনধারী বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেন।