১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৫

শিক্ষক পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ পাচ্ছেন কতজন?

শিক্ষক পদে নিয়োগ

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে যাচ্ছেন ২০ হাজারের বেশি প্রার্থী। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচিত হলেও এক হাজার দুইশর বেশি প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নির্বাচিত হলেও ভি-রোল ফরম পূরণ না করা, যাচাইয়ের জন্য সনদ জমা না দেয়া ও সনদে জটিলতা থাকায় ওই এক হাজার দুইশর বেশি প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) এনটিআরসিএর একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সূত্র জানায়, ভি-রোল ফরম পূরণ ও সনদ যাচাই শেষে বিশ হাজার পাঁচশর বেশি প্রার্থী শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। আর এক হাজার দুইশর বেশি প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ পাচ্ছেন না। যেসব প্রার্থী ভি-রোল ফরম পূরণ করেননি বা যাচাইয়ের জন্য সনদ পাঠাননি তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। আর জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ শনাক্ত হওয়ায় ১২ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হচ্ছে না। 

সূত্রের দাবি, যাচাই প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও এখনো শেষ হয়নি। তাই এ সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। ২০ হাজারের বেশি প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ ও এ সংকান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখা। কতজন প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে যাচ্ছে জানতে চাইলে ওই শাখার পরিচালক (উপসচিব) কাজী কামরুল আহছান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ সংখ্যাটি এখন চূড়ান্ত নয়। সে সংখ্যাটি ২০ হাজারের কিছু কম-বেশি হতে পারে। চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সংখ্যাটি উল্লেখ করে দেয়া হবে। 

জানা গেছে, ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী না থাকায় ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। নিবন্ধিত এ প্রার্থীরা ভি-রোল ফরম পূরণ করে এনটিআরসিএতে তাদের সনদ জমা দিয়েছেন। তারা চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় আছেন।

এদিকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনটিআরসিএ। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললে প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। 

চলতি আগস্ট মাসেই প্রার্থীরা নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক পদে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবেন বলে এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছিলেন এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।