এখনও দেখা শুরু হয়নি শিক্ষক নিবন্ধনের খাতা, আগামী মাসে দিতে হবে ফল
শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা আছে। গত ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার ফল বিধিমালা মেনে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ)। তবে এখনও লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শুরু হয়নি। এমন কি কোটা আন্দোলন ও এ নিয়ে সৃষ্ট সংহিসতার জেরে পরীক্ষকদের কাছে খাতাও পাঠানো শুরু করা যায়নি। ফলে বিধিমালা মেনে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় হাজার শিক্ষক লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন।
এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, অস্থিরতার জেরে খাতা পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো যায়নি। এ পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এনটিআরসিএর একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, আগামী ১৪ আগস্ট (বুধবার) থেকে পরীক্ষকদের নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী বুধ, বৃহস্পতি, রবি, সোম ও মঙ্গলবার খাতাগুলো দেড় হাজার পরীক্ষক নিয়ে যাবেন। তারা প্রত্যেকে ১৫০ থেকে ৩০০ খাতা পাবেন।
সূত্র বলছে, পরীক্ষকদের অনেকেই খাতা ফেরত দিতে দেরি করেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যথাসময়ে খাতা ফেরত দিয়ে যান না। তাই যথাসময়ে ফল প্রকাশ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ এর সংশোধনে বলা আছে, লিখিত পরীক্ষার ফল পরীক্ষা গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে সময়সীমা ১৫ দিন বৃদ্ধি করা যাবে। অর্থাৎ বিধিমালা মেনে লিখিত পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এনটিআরসিএকে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষক নিবন্ধনের খাতা আমরা এ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষকদের নিয়ে যেতে বলছি। দেড় হাজার পরীক্ষক এ পরীক্ষার খাতা দেখবেন।
ফল কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, খাতা দেখা শেষ হলে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছিলেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ওই প্রার্থীরা।
এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।