দুইবার শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা দিলেও ফল পাননি দিলু হোসেন
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা দুইবার দিয়েছেন কক্সবাজারের দিলু হোসেন রনি নামে এক চাকরিপ্রার্থী। দুইবার ভাইভা নেওয়া হলেও পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেনি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ ঘটনায় চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
এনটিআরসিএ বলছে, প্রথমবার ভাইভা দিতে আসার পর দিলু হোসেনের ডিগ্রি সনদ শনাক্ত করা যায়নি। এজন্য তার ভাইভা নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তিনি তথ্য গোপন করে আবেদন করেছিলেন। এজন্য দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও দিলু হোসেনের ফল প্রকাশ করা হয়নি। নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও তথ্য গোপনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দিলু হোসেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দিলু হোসেনের বিষয়টি আদালত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা তাকে ডেকেছিলাম। তার কথা শুনেছি। নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রার্থীর দুইবার ভাইভা নেওয়ার সুযোগ নেই। সেজন্য তার ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি জানিয়ে তাকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দিলু হোসেনের মৌখিক পরীক্ষা ছিল। কাগজপত্রসহ তিনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এনটিআরসিএতে উপস্থিত হন। তবে তার ডিগ্রি সনদ শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে ভাইভা না নিয়ে বোর্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। পরবর্তীতে এনটিআরসিএতে অভিযোগ জমা দিলে একই বছরের ২১ ডিসেম্বর পুনরায় দিলু হোসেনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। দুইবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও এখনো দিলু হোসেনের নিবন্ধনের ফলাফল প্রকাশ করেনি এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে দিলু হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি কোনো তথ্য গোপন করিনি। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করেছি। আমার যোগ্যতা না থাকলে আমার আবেদন বাতিল হয়ে যেত। তবে আমি প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। এটি দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী দিলু হোসেন আরও বলেন, আমি বিচার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। আদালত আমার বিষয়টি নিষ্পত্তির আদেশ দিলেও, তা নিষ্পত্তি করা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য এনটিআরসিএ আমাকে ডেকেছিল। আমি সবকিছু বলেছি। নিবন্ধন নীতিমালা ২০০৬ এর বিধি ৯ এর উপবিধি ৪ (খ) উল্লেখ দেখিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন। তবে আমার পক্ষে নিষ্পত্তি দেননি। এনটিআরসিএ যে বিধির দোহাই দিয়ে অভিযোগকারীর অভিযোগ সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করেনি, সেই বিধি নিজেরাই লঙ্ঘন করেছে।