১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি
আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ দাবি তাদের।
পরীক্ষা পেছানোর কারণ হিসেবে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া নতুন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং অন্যান্য নদীর পানি কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা, নুনখাওয়া, হাতিয়া, চিলমারী, ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, বেশ কয়দিনের ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে পানিতে তলিয়েছে টেকনাফ। যদিও পানি কেবল নামতে শুরু করেছে, তবুও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এখনো দেখা যাচ্ছে না এই অঞ্চলে।
পাশাপাশি, ময়মনসিংহ বিভাগের বন্যা পরিস্থিতিরও চরম অবনতি হচ্ছে। বন্যা কবলিত রয়েছে বিভাগের নেত্রকোনা জেলার শত শত গ্রাম। এ অবস্থায় নিজের পরিবার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বন্যা কবলিত এসব এলাকার পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা পেছানোর দাবি তুলেছেন তারা।
মো. মোজাম্মেল নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় বন্যার ভয়াবহতা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। আমরা নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় পরীক্ষা দেওয়ার কথা মাথায় নিয়ে আসা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না। এনটিআরসিএ’র কর্তাব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ, কিছুদিনের জন্য হলেও যেন পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়।
পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সিলেটের যে কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা হবে সেখানে পানি ওঠার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া অন্যান্য বিভাগেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।