ঈদের দিনও প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ আবেদনবঞ্চিতদের

১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতদের মানববন্ধন
১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিত ৭৩৯ জন প্রার্থী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আযহার নামাজ আদায় শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। ১ বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে আমাদের  ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। অথচ সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও ১ বার আবেদন এর সুযোগ দেওয়া হলো না। কিন্তু  বিগত গণবিজ্ঞপ্তিতে সবগুলো তেই ছাড় দেওয়া হলেও ১৭তমদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। চাকরি হবে না তাহলে পাস কেন করানো হলো? সনদ-ই কেন দেওয়া হলো? 

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে হামিদুর রহমান রন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল  আযাহার আনন্দ ভাগাভাগি না করে রাজধানীতে মানববন্ধন করছি। এটি কতটা কষ্টকর তা কেবল আমরাই জানি। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। এনটিআরসিএর ভুলের কারণে ৭৩৯ জন নিবন্ধনধারীর। এনটিআরসিএ এ দায় এড়াতে পারে না।

আরিফ খান নামে আরেক নিবন্ধনধারী বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ সকলের চাকরি হয়েছে। শুধু অভাগা ৭৩৯ জন বাদ পড়েছে। ঈদের আগে এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে তারা তাদের সেই কথা রাখেনি। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে যাব। ঈদের পর লাগাতার কর্মসূচি আসবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে একই  দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী,  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ