১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনের সুযোগ বঞ্চিতদের মানববন্ধন কাল
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিত ৭৩৯ জন প্রার্থী মানববন্ধন ও অবস্থান আগামীকাল সোমবার (ঈদের দিন) অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০ টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়স জটিলতায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
সমন্বয়কারীদের মধ্যে অন্যতম রাজ্জাকুল হায়দার, ইউছুফ ইমন, হামিদুর রহমান রন, জমির উদ্দিন ও উত্তম সরকার জানান, আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল আযাহার আনন্দ ভাগাভাগি না করে রাজধানীতে মানববন্ধন করবো। বিষয়টি কতটা কষ্টকর তা খুব সজজেই অনুমেয়।
তারা জানান, এই দেশে সব কিছু তড়িৎ গতিতে হলেও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ধীর গতিতে হয়। তার প্রমাণ ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন বঞ্চিত ১৭তম ৭৩৯ জন শিক্ষক। আমাদের ন্যায্য দাবি না মানলে ঈদুল আযহার ছুটির পর লাগাতার আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে।
তারা আরও বলেন, আমরা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। ১ বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে আমাদের ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। অথচ সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও ১ বার আবেদন এর সুযোগ দেওয়া হলো না। কিন্তু বিগত গণবিজ্ঞপ্তিতে সবগুলো তেই ছাড় দেওয়া হইছে কিন্তুু ১৭তমদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। চাকরি হবে না তাহলে পাস কেন করানো হলো? সনদ-ই কেন দেওয়া হলো? কি অপরাধ ১৭তম ৭৩৯ জনের—সেই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রইলো।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। এতে এনটিআরসিএ প্রাথমিক সুপারিশ করছে ২২ হাজারের কিছু সংখ্যক প্রার্থীকে। এতে ১৭তম ৭৩৯ শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে একই দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।