৫ম গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মানববন্ধন
৫ম গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আগে বদলির প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবিতে মাববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালীন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি দ্রুত এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর আশ্বাস দেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. সরোয়ার বলেন, এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান দ্রুত আমাদের আবেদনের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন। আমরা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কথায় আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে শিগগিরই যদি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, সরকার বদলির উদ্যোগ নিয়ে দুটি কর্মশালার আয়োজন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এই অবস্থায় শিক্ষকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের দাবি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ দূর দূরান্তে অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটি কর্তৃক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, অনেক নারী শিক্ষকদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে।
মো. সরোয়ার আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন পান ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই টাকায় নিজের চলাই কষ্টকর। সেখানে পরিবারের খরচ চালানো দুঃস্বপ্নের মতো। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে পঞ্চমের আগে বদলির সুযোগের ব্যবস্থা করে দিন। সেটি সম্ভব না হলে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ৭ নং ধারা পুনর্বহাল করে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগের ব্যবস্থা করে দিন।
ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল ইসলাম বলেন, মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে নিজ বাড়ি থেকে শতশত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা খুব কষ্টের। বৈশ্বিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে এই সামান্য টাকায় কোনোভাবেই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়।
বদলির প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষকদের বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।