সনদের মেয়াদ নিয়ে নতুন তথ্য জানাল এনটিআরসিএ
শিক্ষক নিবন্ধনের সনদের মেয়াদ তিন বছর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটি বাস্তবান করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সোমবার (৪ মার্চ) এনটিআরসিএ’র বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তারা কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষক নিবন্ধনের সনদের মেয়াদ তিন বছর। এ বিষয়ে সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ মতামত দিয়েছেন। সেই মতামত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। এখানে তাদের করার কিছু নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটিই তারা পালন করবেন।
এদিকে প্রথম থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ বাতিল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরকে গুজব বলে দাবি করেছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম। তবে এটিকে আন্দোলন দমানোর কৌশল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করেন নিবন্ধনধারীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ বাতিলের খবর সম্পূর্ণ গুজব। গুজব এমন একটি ভয়ানক জিনিস যা আপানারা ফেসবুকে দেখেছেন, যেটা সঠিক নয়। তাই. গুজবে কান দেবেন না।’
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্যকে আন্দোলন থামানোর কৌশল বলে মনে করছেন নিবন্ধনধারীরা। তারা বলছেন, এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তা সনদের মেয়াদ ৩ বছর করার তথ্য জানিয়েছেন। এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক নিবন্ধনের নীতিমালাতেও সনদের মেয়াদ তিন বছর বলা হয়েছে। কাজেই সনদ বাতিলের বিষয়টিকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে আলী রেজা বলেন, ‘১ থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদের মেয়াদ তিন বছর মর্মে মতামত দিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ। এরপরও সনদ বাতিলের তথ্যকে গুজব দাবি করে আন্দোলনকারীদের আই ওয়াশ করেছেন এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান। আন্দোলন থামাতে এই কৌশল নেয়া হয়েছে।’
মো. মহসিন নামে আরেক নিবন্ধনধারী বলেন, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭তমদে সনদের মেয়াদ তিন বছর। তবে ১ থেকে ১২তমদের সনদের নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১২ জুনের এমপিও নীতিমালার আগে যারা সনদ লাভ করেছে তাদের জন্য বয়স শিথিল যোগ্য। কাজেই ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ১-১২তমদের বাদ দেওয়ার পায়তারা করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।