বয়সে ছাড়ের দাবিতে আন্দোলন, যা বললেন এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড়ের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। কর্মসূচি চলাকালীন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যস্ততায় এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম আজ সোমবার বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দাবি আমরা শুনেছি। তাদের দাবি যৌক্তিক। করোনাসহ নানা কারণে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরীক্ষা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে। বিষয়টি আমরা অনুধাবন করেছি।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, বয়সে ছাড়ের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তবে যেহেতু ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, সেহেতু তাদের বিষয়টি আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাব। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৭তম নিবন্ধনধারীদের বয়সে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা আমাদের মতামতসহ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাব। এর পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় নেবে। মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যস্ততায় এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তাদের সাথে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষ কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলকারীরা।
জানতে চাইলে মো. রাজ্জাকুল হায়দার নামে এক নিবন্ধনধারী বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
মো. ইউসুফ ইমন নামে আরেক নিবন্ধনধারী জানান, করোনার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এনটিআরসিএ বিষয়টি অনুধাবন করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা চেয়ারম্যানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।