২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭

যে কারণে একইদিনে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেবে এনটিআরসিএ

চাকরিপ্রার্থী ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

আগামী ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এবার একই দিনে স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এবং কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। একইদিনে দুটি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া প্রার্থীরা বলছেন, অনেকেই স্কুল পর্যায়ের নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষাতেও অংশ নেবেন। একদিনে দুটি পরীক্ষা হওয়ায় তাদের বিপাকে পড়তে হবে। রোজার মধ্যে পরীক্ষা হওয়ায় প্রার্থীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

এনটিআরসিএ বলছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রতিবছর একটি করে নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। সেই বাধ্যবাধকতা থেকেই তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায়। রোজার কথা বিবেচনা করে একদিনে দুটি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা ৮ ও ৯ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটি সম্ভব না হওয়ায় ১৫ মার্চ পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। রোজার মধ্যে দু’দিন পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটরসহ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সমস্যা হত। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে একদিনে দুই পর্যায়ের পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে।’

জানা গেছে, আগামী ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০।

প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।