২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

বয়সে ছাড়ের দাবিতে মন্ত্রণালয়-এনটিআরসিএতে ১৭তম নিবন্ধনধারীদের স্বারকলিপি

স্মারকলিপি দেওয়া শেষে এনটিআরসিএ’র সচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়  © সংগৃহীত

৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পক্ষে মোঃ রাজ্জাকুল হায়দার, মোঃ ইউসুফ ইমন, মোঃ এনামুল হক, উত্তম সরকার, পিজুস কান্তি, মো: আরিফ খান ও জমির উদ্দীন এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তিতে একই বছরের ১৫ ও ১৬ মে প্রিলিমিনার এবং ৭ ও ৮ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও করোনা মহামারীর এবং এনটিআরসিএ’র দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে যথাসময়ে পরীক্ষা আয়োজিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় তিন বছর পর ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২৩ সালের ৫ ও ৬ মে। মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়।

তারা জানান, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের জীবন থেকে ৪ বছর নষ্ট হওয়ায় অনেকের বয়স বর্তমানে ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে। ফলে আমাদের শিক্ষক হওয়ার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় আমরা বেশ কয়েকটি গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। পূর্বের গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের শিথিল ছিল ৩৯ মাস। কিন্তু ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স শিথিল থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। করোনার আসল ভুক্তভোগী ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীরা। আমরা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আসন্ন ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।