১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছাতে পারে
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছাতে পারে। আগামী ৮ ও ৯ মার্চ এই নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব ওবায়দুর রহমান আজ বুধবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রোজার আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলে ১৮তম নিবন্ধনের পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। নতুন চেয়ারম্যান যোগদানের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিজি প্রেসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছাপানোর কথাবার্তা চলছে। এজন্য প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চলছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই নিবন্ধনের প্রশ্ন ছাপানোর কাজ শুরু হতে পারে।
ওই সূত্র আরও জানায়, রোজার আগে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে। যদি এমনটি হয় তাহলে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঈদের পর আয়োজন করা হতে পারে। তবে নির্বাচন রোজার আগে না হলে ৮ ও ৯ মার্চই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। ইতোমধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে।’
গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।