১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজন করা হতে পারে। এসএসসি পরীক্ষার চলাকালীন এ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। সাড়ে ১৮ লাখের বেশি প্রার্থী নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে নির্বাচনের কারণে বিজি প্রেসের মাধ্যমে প্রশ্ন ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হবে। নির্বাচনের পর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপাবে বিজি প্রেস। ফলে জানুয়ারিতে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রশ্ন ছাপাতে পারবে না সংস্থাটি।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন শুক্র ও শনিবারকে টার্গেট করে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলগুলো ফাঁকা পাওয়া গেলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাইভা ভালো করলেও তিন কারণে বাদ পড়বেন ১৭তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। এজন্য বিজি প্রেসের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমাদের প্রশ্ন ছাপাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এজন্য পরীক্ষা কিছুটা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমাদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ১৮ লাখ প্রার্থীর পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন কাজ। প্রশ্নফাঁস রোধ করাসহ আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। এজন্য তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা নেই। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন যে কোনো শুক্র এবং শনিবার পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: বয়সে ছাড় দিতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবে এনটিআরসিএ
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করার।’
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।