চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৮ হজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ফের আটকে গেছে। সাকিকুন নাহার নামে এক প্রার্থীর রিটের কারণে নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। জটিলতা নিরসনের পথ খোঁজা হচ্ছে জানা গেছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সলিসিটারের মতামত চাওয়া হয়েছে। একই সাথে চেম্বার কোর্টে রিটের শুনানি করার চেষ্টা চলছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, আদালতের অবকাশকালীন ছূটি থাকায় হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে রিটের শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য চেম্বার আদালতে শুনানির চেষ্টা চলছে। চেম্বার আদালতে শুনানি করা সম্ভব না হলে নিয়োগ কার্যক্রম পিছিয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানান, আমরা চূড়ান্ত সুপারিশের একদম শেষ পর্যায়ে ছিলাম। তবে শেষ মুহূর্তে একজন প্রার্থীর রিটের কারণে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গেছে। বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে৷ এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ।
প্রার্থীদের সঠিকভাবে ভি-রোল ফরম পূরণের জন্য কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভি-রোল ফরম পূরণ শেষে চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। তবে এখনো চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় আটকে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।