০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৬

রিটের শুনানি নিয়ে শঙ্কা, চূড়ান্ত সুপারিশ কবে?

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষিকা  © ফাইল ফটো

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমি সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের অপেক্ষা আরও বাড়ছে। নতুন করে এক প্রার্থীর রিটের কারণে চূড়ান্ত সুপারিশে বিলম্ব হচ্ছে। রিটের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জের সাবেকুন নাহার নামে এক নিবন্ধনধারীর নম্বর ছিল ৬৩। তার আবেদন করা পদে ৬১ নম্বর পাওয়া নিবন্ধনধারীকে প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যার নথিপত্র ইতোমধ্যে এনটিআরসিএতে পৌঁছেছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, রিটের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সুরাহা করা যেত। তবে উচ্চ আদালতে অবকাশ শুরু হওয়ায় রিটের স্থগিতাদেশের ওপর শুনানির জন্য তারিখ পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে। চেম্বার জজ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করতে না পারলে আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে কিছুই করার থাকবে না এনটিআরসিএর। আইনি জটিলতা দূর না হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষক নিয়োগ আটকেই থাকবে।

এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আদালত কোনো বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিলে কিছু করার থাকে না। এখন এনটিআরসিএ কিছুটা নিরুপায়। আমরা চেষ্টা করবো- দ্রুত একটা হেয়ারিং (শুনানি) করানোর।

জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ।

প্রার্থীদের সঠিকভাবে ভি-রোল ফরম পূরণের জন্য কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভি-রোল ফরম পূরণ শেষে চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। তবে এখনো চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় আটকে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।