দ্রুত যোগদানের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষা সচিবকে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪০ PM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ PM
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের দ্রুত যোগদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবকে স্মারকলিপি দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে মো. ইমরান খান এবং রাশেদ অর্নব এই স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগের ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উক্ত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের আবেদনের বিপরীতে শূণ্যপদে ৩২হাজার প্রার্থীকে প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে এবং ভেরিফিকেশন ফরমও জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। এই ৩২ হাজার শিক্ষকের চূড়ান্ত যোগদান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির জন্য আটকে আছে। যা এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তারা জানান, প্রাথমিক সুপারিশের ৬ মাস অতিক্রম হতে চলেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশের পথ উন্মুক্ত হয় নি। যা হবু শিক্ষকদের চরমভাবে হতাশ করেছে। চরম হতাশা, দুঃখ দুর্দশা ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে এসব উচ্চ শিক্ষিত বেকার প্রার্থীরা। এদের নিয়ে ভাববার যেন কেউ নেই। এসব প্রার্থীরা পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও সমাজ থেকে নিগৃহিত হচ্ছে চরমভাবে। অনিশ্চয়তা, হতাশা ও অর্থকষ্টে অনেকেই ইতোমধ্যে মানসিক রোগী হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চূড়ান্ত সুপারিশ বিলম্বিত হওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অনেকেই হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে । যা খুবই লজ্জ্বার ব্যাপার।একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে যদি ৩-৪ বছর লেগে যায় তাহলে এনটিআরসিএ'র অধীনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের আস্থা হারাবে। যার ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশাল এক ক্ষতির সম্ভাবনা অবশ্যই থাকবে। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক ছাড়া কোন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন কখনোই সম্ভব নয় ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ'র শিক্ষক নিয়োগে এই দীর্ঘসূত্রিতা উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের যেমন হতাশ ও নিরুৎসাহিত করছে। তেমনি শিক্ষক ঘাটতি দ্রুত পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার পাঠদান ও মানোন্নয়নের ব্যাপক ক্ষতি করছে। চলমান শিখন ঘাটতি পূরণ, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও শিক্ষার সার্বিক উন্নতিকল্পে এই ৩২ হাজার শিক্ষক অতি দ্রুত নিয়োগের কোন বিকল্প নাই। আশা করি এ ব্যাপারে অতি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তাছাড়া ৩২ হাজার বেকার শুধু নয় ৩২ হাজার পরিবারের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করে তাদের মুখে হাসি ফোটানো, বর্তমান সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা, প্রধানমন্ত্রীর শূণ্যপদ পূরণে অনুশাসন বাস্তবায়ন সর্বোপরি শিক্ষার সার্বিক উন্নতির জন্য অতি দ্রুত ৩২ হাজার শিক্ষকের যোগদানের জন্য যথাযথ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।