ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরিকল্পনা
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম শেষ করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এই নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে চায় সংস্থাটি।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার নম্বর স্ক্রিনিংয়ের কাজ শেষ। নম্বর কম্পিউটারে ইনপুট দিয়ে রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে কোনো কারণে এ সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা না গেলে আগামী সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, আগামী ডিসেম্বরে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান অবসরে যাবেন। চেয়ারম্যানের অবসরের পূর্বেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি আগস্ট মাসেই ১৭তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ'র পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) মো. আবদুর রহমান বলেন, ১৭তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। তবে এটি তেমন কোনো বিষয় না। ফল তৈরিতে কোনো ভুল হয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো চলতি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশ করার। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। ফল প্রকাশের আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৫ ও ৬ মে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ প্রার্থীকে ঐচ্ছিক বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
২০২০ সালে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ১৫ হাজার ৩৭৯ জন, স্কুলপর্যায়ে ৬২ হাজার ৮৬৪ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৭৩ হাজার ১৯৩ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২৪ দশমিক ৮৯।