৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ হতে পারে এ মাসেই
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ জুলাই মাসেই করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে আগস্টে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছে। একই সাথে প্রার্থীদের সনদ যাচাইয়ের কাজও চলমান রয়েছে। সনদ যাচাই শেষ হলে ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি চলতি মাসের মধ্যে প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে। এজন্য সনদ যাচাইয়ের কাজ দ্রুত করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের শেষ দিকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি প্রার্থীদের দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ করার। তবে যারা নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েছেন তাদের অনেকে বয়স ঠিক নেই, সনদ জাল, ইনডেক্সধারী এবং কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। এসকল প্রার্থীদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে না। সেজন্য চূড়ান্ত সুপারিশে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
জুলাই মাসে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এ মাসের মধ্যেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে। কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে আগস্টের শুরুতেই চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
তবে চলতি বছরের মার্চে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। ভি-রোল ফরম পূরণের মেয়াদ তিন দফায় বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। এই সময় আর বাড়ানো হয়নি। এখন প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।