চয়েজ রি-অর্ডারের সুযোগ চান নিবন্ধনধারীরা
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২৪৭ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদনগ্রহণ চলছে। আবেদন করতে গিয়ে চয়েজ এলোমেলো হয়ে যাওয়া প্রার্থীরা চয়েজ রিঅর্ডারের সুযোগ দাবি করেছেন।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা অনেক কম দেওয়া হয়েছে। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অনেকেই নিজ বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠান প্রথমে না রেখে মাঝে কিংবা শেষে দিয়েছেন। আবার অনেকে নিজে চয়েজ অর্ডার না দিয়ে অন্য কারো সহযোগিতা নেওয়ায় সেখানেও ভুল হয়েছে। চয়েজ রিঅর্ডারের সুযোগ না দেওয়া হলে অনেক চাকরিপ্রার্থী নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাবেন।
১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাজেদুল ইসলাম নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আমি সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছি। আবেদনের সময় যেভাবে প্রতিষ্ঠান পছন্দক্রম দিয়েছিলাম সেভাবে হয়নি। চয়েজ রিঅর্ডারের সুযোগ না দিলে আমি নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাব। বেশি দূরে সুপারিশ পেলে যোগদান করবো কি না বুঝতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃত কয়েকজন প্রার্থী চয়েজ রিঅর্ডারের সুযোগ চেয়েছেন। আমরা তাদের আবেদনগুলো যাচাই করছি। প্রকৃতপক্ষে কেউ ভুক্তভোগী হলে আমরা তাদের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
এর আগে গত ১৩ জুন সেসিপের আওতায় ১৯৮টি স্কুল ও মাদ্রাসায় ভোকেশনাল কোর্সের ২৪৭টি পদে নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই পদগুলোর মধ্য সিভিল কন্সট্রাকশন ট্রেডের ১১টি, কম্পিউটার ইনফরমেশন টেকনোলজি ট্রেডের ৯৭টি, ড্রেস মেকিং ট্রেডের ১৯টি, ফুড প্রসেসিং ও প্রিজারভেশন ট্রেডের ১৯টি, জেনারেল ইলেক্ট্রিকাল ওয়ার্কস ট্রেডের ৫৬টি, জেনারেল ইলেকট্রনিকস ট্রেডের ১৭টি, জেনারেল মেকানিক্স ট্রেডের ৩টি, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিংস ট্রেডের ৮টি, রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং ট্রেডের ১৬টি ও ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন ট্রেডের ১টি পদে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর বা শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।