চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
নিজ জেলায় সুপারিশ চান রোল ব্লকে সমস্যায় পড়া চাকরিপ্রার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩, ০৫:০৯ PM
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে রোল ব্লক জনিত সমস্যার কারণে সুপারিশ না পাওয়া ২৪ প্রার্থী নিজ জেলা কিংবা উপজেলায় সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (১৪ জুন) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে মো. মামুনুর রশিদ এই স্মারকলিপি জমা দেন।
জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ বলেন, আমি চতুর্থ গনবিজ্ঞপ্তিতে রসায়ন বিষয়ে প্রভাষক পদে ৪০ টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রম অনুযায়ী আবেদন করি। কিন্তু রোল ব্লক জনিত ইস্যুতে আমি কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হলেও আমার চেয়ে মেরিটে পিছিয়ে থাকা আবেদনকারী নির্বাচিত হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি এনটিআরসিএ বরাবর আবেদন করলে, এনটিআরসিএ আমার আবেদন যাচাই-বাছাই করে এবং আমার আবেদনে সত্যতা পায়।
তিনি বলেন, শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে আমার মতো ৫৩ জন ভুক্তোভুগীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। অবশিষ্ট ২৪ জনের পদ সংরক্ষণ করা হয় যা শূন্য পদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে বলে জানানো হয়। সংরক্ষিত ২৪ টি শূন্য পদে আমার নাম আছে বলে এনটিআরসিএ'র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান বিভাগ থেকে নিশ্চিত হয়েছি।
মামুনুর রশিদ বলেন, ৫৩ জন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর অনেকেই নিজ এলাকা থেকে অনেক দূরে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। রর ফলে অনেকেই যোগদান করবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। যোগদান করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।রোল ব্লক না হলে আমরা আমাদের পছন্দের ৪০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম দিকের প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত সুপারিশ পেতাম। যেহেতু রোল ব্লক সমস্যাটি এনটিআরসিএর কারণে তৈরি হয়েছে। তাই আমাদের নিজ জেলা বা উপজেলাতে সুপারিশের অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ করতে তাদের রোলগুলো ব্লক করা হয়। এজন্য কিছু প্রার্থী সুপারিশ পায়নি। আমরা তাদের শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে ৫৩ জনকে সুপারিশ করেছি। অবশিষ্ট ২৪ জনকেও সুপারিশ করা হবে।
প্রার্থীদের নিজ উপজেলা কিংবা জেলায় সুপারিশ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সুপারিশের ক্ষেত্রে আমরা প্রথমে উপজেলায় শূন্য পদ আছে কি না তা দেখি। উপজেলায় না হলে জেলাতে সুপারিশের চেষ্টা করি। সেটিও সম্ভব না হলে ওই প্রার্থীর নিজ বিভাগের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করি। যেখানে শূন্য পদ ফাঁকা রয়েছে সেখানেই সুপারিশ করা হবে। অবশিষ্ট ২৪ জনের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।