যে কারণে সুপারিশপ্রাপ্তদের সনদ যাচাই করবে এনটিআরসিএ
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ২৬ জুনের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্তদের সকল সনদের সত্যায়িত কপি জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশের পর থেকে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। জাল নিবন্ধন সনদ, বয়সে কারসাজি, ইনডেক্সধারী হয়েও তথ্য গোপনসহ একাধিক অভিযোগ জনা হয় এনটিয়াআরসিএতে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে নির্ভুলভাবে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে সনদ যাচাই করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চূড়ান্ত সুপারিশের পর অনেক প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেন না। পরে অসুন্ধান করে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সনদ সঠিক ছিল না। তখন দায়ভারটা আমাদের উপর আসে।
তিনি আরও বলেন, এসব দায়ভার থেকে মুক্তি এবং নির্ভুলভাবে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে এবার সব বিষয়ের নিবন্ধনধারীদের সনদ যাচাই করা হবে। এর আগে আমরা সহকারী মৌলভী এবং আইসিটি বিষয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত সনদ জমা নিয়েছি। এখন অন্যদের নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল রবিবার সুপারিশপ্রাপ্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা দিতে নির্দেশনা জারি করে এনটিআরসিএ।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় সহকারী মৌলভী ও আইসিটি পদ ব্যাতিত অবশিষ্ট বিভিন্ন পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৬ষ্ঠ থেকে ১১তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম্যাট অনুযায়ী সনদগুলো সত্যায়িত করে সনদ জমা দিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধনের সনদসহ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি ও ছকে চাহিদাকৃত তথ্য প্রেরণে ব্যর্থ হলে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজারের বেশি নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে সুপারিশপ্রাপ্তদের অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ চলছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভি-রোল ফরম জমা দেওয়া যাবে।