১১ মে ২০২৩, ১১:৩৬

মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশবঞ্চিত অর্থনীতির নিবন্ধনধারীরা 

প্রতীকী ছবি  © ফাইল ছবি

জাতীয় মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাননি অর্থনীতি বিষয়ের নিবন্ধনধারীরা। বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া দিচ্ছে না সংস্থাটি। এই অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতি বিষয়ের নিবন্ধনধারীরা।

এনটিআরসিএ বলছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয় ভিত্তিক নম্বরে এগিয়ে থাকা নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কম্বাইন্ড মেরিট লিস্ট দেখা হচ্ছে না। সাবজেক্ট অনুযায়ী যার নাম্বার বেশি তাকেই নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির সাত নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করছে না এনটিআরসিএ। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক নম্বরে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের বিষয়টি আগে বলা হয়নি। তাই বিজ্ঞপ্তিতে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অর্থনীতি বিষয়ের নিবন্ধন পেয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, অর্থনীতির স্কুল পর্যায়ে জাতীয় মেধায় আমার অবস্থান ১ হাজার ১৭১। মেধাতালিকায় আমার চেয়ে পিছিয়ে থাকা তিনজনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও আমাকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। যাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের মেধাক্রম যথাক্রমে ১২৮৫, ১৪৮৯ এবং ১২৮৫। 

তিনি আরও বলেন, যেহেতু মেধাতালিকায় আমি এগিয়ে তাই আমি সুপারিশ পাওয়ার যোগ্য দাবিদার। কেননা গণবিজ্ঞপ্তির ৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘মেরিট ও চয়েজের ভিত্তিতে সুপারিশ করা হবে’। তাই এনটিআরসিএ’র কাছে আমার অনুরোধ, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরির সুপারিশ করুন। এটি না হলে আমাদের এই সনদের কোনো মূল্য নেই। 

প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের মধ্যে অনেকগুলো সাবজেক্ট রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা জাতীয় মেধাতালিকা দেখিনি। অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান , রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, সমাজকর্ম এবং ভূগোলে বিষয় ভিত্তিক নম্বরে যারা এগিয়ে ছিল তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিষয় ভিত্তিক নম্বরের সুপারিশ করার বিষয়টি আগে জানানো হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেখুন এনটিআরসিএ আগে থেকে এভাবেই সুপারিশ করে আসছে। এটি নতুন কিছু নয়।