৩২ হাজার শিক্ষকের যোগদান কবে?
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (ভি-রোল) পূরণের কাজ চলছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভি-রোল ফরম পূরণ করা যাবে। এরপর প্রার্থীদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রোববার ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী জুন অথবা জুলাই মাসে ৩২ হাজার শিক্ষককে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। ভেরিফিকেশন চলমান রেখে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিতে জুন মাসের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। ৩১ মে ভি-রোল ফরম পূরণ শেষ হওয়ার পর সুরক্ষা সেবা বিভাগ কোনো আপত্তি না জানালে দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন পেলে জুন মাসেই নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্কুল-কলেজে অনেক শিক্ষকের সংকট রয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চাই। ভি-রোল ফরম পূরণ শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ চলমান থাকাকালীন আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাব।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে, কাজেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।