১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৪৩

ভি-রোল ফরম পূরণ নিয়ে সুখবর নেই

প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন (ভি-রোল) ফরম পূরণ ঈদের আগেই শুরু করার কথা থাকলেও কারিগরি জটিলতার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ঈদের পর কবে থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে সে বিষয়েও কোনো খবর দিতে পারেনি সুপারিশকারী সংস্থা।

জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৬৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে অনলাইনে। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ একটি লিংক তৈরি করেছে। এই লিংকের সার্ভারে প্রার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করা হয়েছে। 

এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, সুপারিশপ্রাপ্তদের ভি-রোল ফরম পূরণের জন্য বার বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে তাগাদা দেওয়া হলেও সুরক্ষা সেবা বিভাগ কোনো সুখবর দিতে পারছে না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু করতে চাই। তবে সুরক্ষা সেবা বিভাগ আমাদের লিংক দিতে পারছে না। ভেরিফিকেশন কার্যক্রম দেরিতে শুরু হওয়ায় প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের কার্যক্রমও পিছিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ঈদের আগেই ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ঈদের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরুর চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। 

আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গত ১২ মার্চ ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশের কথা রয়েছে।