ভি-রোল ফরমের এসএমএস নিয়ে ফেসবুকে গুজব

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মেসেজ ও এনটিআরসিএ’র লোগো
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মেসেজ ও এনটিআরসিএ’র লোগো  © সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের (ভি-রোল) ফরম পূরণের কোনো এসএমএস পাঠানো হয়নি। এসএমএস পাঠানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেটিকে গুজব বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোববার (০২ এপ্রিল) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এবার অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন প্রোগ্রামার  এনটিআরসিএ’র কাছ থেকে সুপারিশ প্রাপ্তদের তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে এখনো পুরো কাজ শেষ করতে পারেনি তারা। তাই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠানোর কোনো প্রশ্নই ওঠেনা।

এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, আমরা চলতি সপ্তাহে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম পূরণের কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিলাম। তবে সুরক্ষা সেবা বিভাগ আমাদের কোনো সুখবর দিতে পারছে না। কাজেই এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রার্থীদের যে এসএমএস পাঠানো হয়েছে সেটি হয়তো ট্রায়াল ভার্সন হতে পারে। কোনো প্রার্থীকে এখনো এসএমএস পাঠানো হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র উপপরিচালক (শিক্ষাতত্ব ও শিক্ষামান) শাহীন আলম চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা প্রার্থীদের এখনো এসএমএস পাঠানো শুরু করিনি। যারা এসএমএস পাওয়ার দাবি করছেন সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এটি গুজব হতে পারে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের এসএমএস পাঠানো হবে না। কবে মেসেজ পাঠানো যাবে সেটিও এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

এর আগে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। 

আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশের ফল প্রকাশের পর থেকেই নিবন্ধনধারীরা নানা অভিযোগ জানিয়ে ফল বাতিলের দাবি করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ