৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কী ইনডেক্সধারীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন?
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের আবেদনের সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়। এই অবস্থায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে কি না সেই প্রশ্ন মুখে মুখে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে তাদের এই নির্দেশনা স্থগিত কিংবা বাতিল করতে পারে। এখানে এনটিআরসিএ’র কিছু করার নেই। সবকিছু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দিলে নতুনরা চাকরি পাচ্ছিল না। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো শিক্ষক থাকতে চাইত না। এছাড়া আরও কয়েকটি কারণে তাদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে কি না সেটি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা জানান, একজন সহকারী শিক্ষক সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন পান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই অর্থ দিয়ে নিজের চলাই কষ্টসাধ্য। সেখানে পরিবারের হাল ধরা অসম্ভব। গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে তারা নিজ জেলায় যাওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে সেই সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তারা বলছেন, শিক্ষকতা তাদের কাছে এখন অভিশাপ মনে হয়। সব চাকরিতেই বদলির ব্যবস্থা রয়েছে। বদলি না থাকলেও শাখা পরিবর্তন করা যায়। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কিংবা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যার যেখানে চাকরি হয়েছে, তাকে আজীবন সেখানেই থাকতে হবে।
মো. বেলাল নামে এক শিক্ষক বলেন, নতুন এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অথচ আগের নীতিমালায় বদলির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। এখন গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনও করা যায় না। এই বেতনে চাকরি করাটাই এখন কষ্টকর। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আমাদের আবেদনের সুযোগ না দেওয়া হলে চাকরি পরিবর্তন করবেন বলেও জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের বদলি কিংবা আবেদনের সুযোগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার তিনি কেউ নন।