চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ পেলেন ১ম ব্যাচের নিবন্ধনধারী
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন প্রথম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
১ম ব্যাচের নিবন্ধন সনদ দিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরির সুপারিশ পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মইনুল ইসলাম। তার নিবন্ধন রোল নম্বর ২৬১০০৩৪। তিনি পাবনার সাথিয়া উপজেলার সাথিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।
শুধু প্রথম নিবন্ধন থেকেই নয়; চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন দ্বিতীয় নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিও। মইনুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শাহাদত হোসেন কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রভাষক পদে সুপারিশ পেয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ওই বছরই প্রথম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। এছাড়া দ্বিতীয় নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয় ২০০৬ সালে।
আরও পড়ুন: ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে ‘হ-য-ব-র-ল’, ফল বাতিলের দাবি
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর। ফলে প্রথম নিবন্ধন থেকে কারো শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পেতে হলে তাকে ১৭ বছর বয়সে স্নাতক শেষ করতে হবে। আর দ্বিতীয় নিবন্ধন থেকে চাকরির সুপারিশ পেতে হলে ১৮ বছর বয়সে তাকে স্নাতক শেষ করতে হবে। বাস্তবিক অর্থে যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বিভিন্ন অসঙ্গতি রয়েছে। একই বিষয়ে মেধাক্রমে এগিয়ে থেকেও অনেকে চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ ওই বিষয়েই মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিরা ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী আবেদনকৃতদের নিয়োগ সুপারিশ করা হয়নি। সাত নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ‘প্রার্থীর আবেদনে বর্ণিত Choice-এর প্রেক্ষিতে প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে ফলাফল Process করা হবে।’’ অথচ মেধাক্রমে যারা এগিয়ে রয়েছেন তাদের সুপারিশ না করে পিছিয়ে থাকাদের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া অনেকের বয়স শেষ হয়ে গেলেও তাদের সুপারিশ করা হয়েছে। যা এনটিআরসি’র পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই অবস্থায় সুপারিশ বাতিল করে নতুন করে সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১ম এবং ২য় ব্যাচের দুই জনের চাকরির বয়স থাকলে চাকরি পেতেই পারে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার কোনো সুযোগ নাই।
১ম ব্যাচের কারো সুপারিশ পেতে হলে তাকে ১৭ বছর বয়সে স্নাতক শেষ করতে হবে। যে প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছে তার বয়স দেখা হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।