চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিই চায়নি এনটিআরসিএ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করতে এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায়নি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রাথমিক ফল তৈরির কাজ শেষ করতে না পারায় অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগের ফল তৈরি করছে টেলিটক। এখন পর্যন্ত দুই তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফল তৈরির সময়সীমা বেধে দেওয়া হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি টেলিটক। চলতি সপ্তাহে ফল তৈরির কাজ শেষ হলে আগামী সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের অগ্রগতি জানতে টেলিটকের সাথে সভা করা হবে। ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হলে শিক্ষামন্ত্রীর মৌখিক অনুমতি চাওয়া হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে আগামী সপ্তাহে সুপারিশ করা হবে কি না সেটি নির্ভর করছে টেলিটক কতটুকু কাজ শেষ করতে পারে তার ওপর।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমা সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা মার্চের শুরুর দিকে ফল প্রকাশের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছি। তবে টেলিটক এখনও ফল তৈরির কাজ শেষ করতে পারেনি। কাজেই কবে প্রাথমিক সুপারিশ করতে পারবো সেটি এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।
ফল প্রকাশের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ফল তৈরির কাজই শেষ হয়নি। তাহলে অনুমতি চাইব কীভাবে। ফল তৈরির কাজ ৯০ শতাংশের বেশি হওয়ার অনুমতি চাওয়া হতে পারে। তবে এটি কেবলই একটি আনুষ্ঠানিকতা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেছেন।