ইন্সট্রাক্টর-এর ভুল পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের পুনঃসুপারিশের দাবি
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) ভুল পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা পুনরায় সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন। তবে প্রার্থীদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
জানা গেছে, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) পদে চাহিদা দেন।তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভুল চাহিদার জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রার্থীরা যোগদান করতে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের যোগদান করাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনেকে যোগদান করলেও পরবর্তীতে এমপিওভুক্তি হওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এই প্রার্থীরা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে এনটিআরসিএতে পুনঃসুপারিশের লিখিত আবেদন করেন।
এনটিআরসিএ বলছে, প্রার্থীদের সার্টিফিকেটে লেকচারার পদ উল্লেখ ছিল। তবে তারা ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) পদে আবেদন করেছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, সার্টিফিকেট অনুযায়ী আবেদন করতে। সার্টিফিকেটে যে পদ লেখা থাকবে সেই বিষয়েই আবেদন করতে হবে। এটি প্রার্থীদের ভুল তাই তাদের পুনঃসুপারিশের সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিল এনটিআরসিএ
তবে এনটিআরসিএর এই দাবির সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভুল পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। তারা বলছেন, এনটিআরসিএ যে নিবন্ধন সনদ তাদের দিয়েছে সেখানে উল্লেখ ছিল জেনারেল, মাদ্রাসা এবং বিএম(কারিগরি) শাখায় ‘প্রভাষক’ পদে আবেদন করতে পারবে। ইন্সট্রাকটর(নন-টেক) এবং প্রভাষক পদ সম পদমর্যাদার হওয়ার প্রার্থীগণ আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের চাহিদা ঠিক থাকায় উল্লিখিত বিষয়ে কিছু প্রার্থী যোগদান করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কিছু প্রার্থী প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে এমপিওভুক্তি সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুল চাহিদার জন্য কিছু প্রার্থী যোগদান করতে পারেননি। তাদের মতে এনটিআরসিএ চাইলেই আমাদের পুনঃসুপারিশ করতে পারে। তবে তারা এটি করছে না।
প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সার্টিফিকেটে উল্লেখ না থাকার পরও তারা আবেদন করেছেন। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। তাদের সার্টিফিকেটে লেকচারার লেখা ছিল। তবে তারা আবেদন করেছেন ইন্সট্রাক্টর পদে। এটি তাদের ভুল। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।