০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:০৮

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা জানা গেল

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটাে

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কিংবা ১৩তম নিবন্ধনের রিট বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় কবে নাগাদ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারছে না এনটিআরসিএ।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এবং বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চান। তবে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মূল বাধা ১৩তম নিবন্ধনের রিটকারীদের বিষয়ে আদালত থেকে কোনো সুরাহা না হওয়া। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তাই কবে নাগাদ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আড়াই হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের জন্য আদালতে রিট করেছিলেন। আদালত রিটকারীদের নিয়োগ দিতে রায় দেয়। তবে এনটিআরসিএ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এই আপিলের ওপর স্থগিতাদেশ না আসা পর্যন্ত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না এনটিআরসিএ।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বুধবার বিকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং ১৩তম নিবন্ধনের রিটকারীদের বিষয়টি সুরাহা হওয়া মাত্র গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

ডিসেম্বর মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এনটিআরসিএ’র এই কর্মকর্তা।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ৭০ হাজারের বেশি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে সবচেয়ে নিয়োগ হবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে। মাদ্রাসায় ৩৭ হাজার ৬৬৪টি শূন্য পদ রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজারের কিছু বেশি পদ বাকি রেখে ৩৬ হাজার ৫৬২টি শূন্য পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৩২ হাজার ৫০০ শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। আর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬টি হলেও এক হাজার পদ বাকি রেখে এক হাজার ১০২টি পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে।