১৬ নভেম্বর ২০২২, ২০:৪৯

ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ছবি

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের  (আগে থেকেই এমপিও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত) আবেদনের সুযোগ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ইনডেক্সধারীদের আবেদনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সংস্থাটি।

জানা গেছে, ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে চলতি নভেম্বর মাসে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় এনটিআরসিএ। যদিও নভেম্বরে এটি প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আবেদনের সুযোগ পাবেন সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষণ গণনা শুরু হলেও এখনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশের স্বপ্ন দেখা শিক্ষকরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন।

ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বলছেন, এমপিও নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও তাদের বদলির ব্যবস্থা নেই। শিক্ষকরা নিজ বাড়ি থেকে ৪০০/৫০০ কিলোমিটার দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। যেহেতু বদলির জন্য পৃথকভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় না সেহেতু তারা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজের বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে বদলির চেষ্টা করে থাকেন। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় হতাশার মধ্যে রয়েছেন তারা। 

এনটিআরসিএ বলছে, ইনডেক্সধারীরা সবাই এমপিওভুক্ত। তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলে নতুনরা বঞ্চিত হন। আবার অনেক ইনডেক্সধারী আবেদন করেও নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে চান না। এতে করে শূন্য পদগুলো শূন্যই থেকে যাচ্ছে। সেজন্য এ বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। শিগগিরই তারা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীরা আবেদন করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব। 

এদিকে এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকের আবেদনের সুযোগ দিতে চায় না এনটিআরসিএ। ইনডেক্সধারীদের আবেদনের কারণে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট কমছে না। নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষক সংকট দূর হবে। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।