১৪ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৪১

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৯ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য

এনটিআরসিএ  © লোগো

তিন অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিকট পাঠানো হয়েছে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এই গণবিজ্ঞপ্তিটি চলতি নভেম্বর মাসে প্রকাশ করতে পারে এনটিআরসিএ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য যাচাই করে এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। এই দুই অধিদপ্তর ৩৯ হাজারের বেশি শূন্য পদের তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসার শূন্য পদের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫০০ এর কিছু বেশি। আর কারিগরির শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬টি।

এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৯ হাজারের বেশি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্য এনটিআরসিএ’র নিকট পাঠানো হয়েছে।

মাউশি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার যাচাইকৃত শূন্য পদের তথ্য এনটিআরসিএতে জমা দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে তথ্য যাচাই করায় কিছুটা সময় লেগেছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যাচাই শেষে ২৯ হাজার ৫৬টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ২৯ হাজার ৫৬টি শূন্য পদের মধ্যে কলেজ পর্যায়ের পদ সংখ্যা ২ হাজার ৮০৭টি। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শূন্য পদের সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৯টি।

এ প্রসঙ্গে মাউশির সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এনটিআরসিএর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য যাচাই করেছি। যাচাই শেষে প্রাপ্ত তথ্য গত সপ্তাহে এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে অর্ধ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। এজন্য দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পাঠানো শূন্য পদের তথ্যগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করার কাজ শেষ হয়েছে। এখন শিক্ষক নিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।