শূন্য পদের তালিকা যাচাই এখনও শেষ করেনি দুই প্রতিষ্ঠান
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই তথ্য তিনটি অধিদপ্তরকে যাচাই করার জন্য দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান করার পর চূড়ান্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। কিন্তু দুই প্রতিষ্ঠান এখনো যাচাই শেষ করতে পারেনি তাই চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না এনটিআরসিএ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের পর প্রার্থীদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এর ফলে অনেক প্রার্থী যোগদান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। আবার অনেকে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। সমস্যা সমাধানে অধিদপ্তরগুলো সেভাবে সহযোগিতা করেনি। এর কারণ হিসেবে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করা হয়েছে। সমন্বয়হীনতা দূর করতেই এবার তিন অধিদপ্তরকে দিয়ে শূন্য পদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ফারদিনের মাথায়-বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন’
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শূন্য পদের তালিকা যাচাই করার কাজ শুরু করে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে। এই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শুধু শূন্য পদের তালিকা যাচাই শেষ করেছে। অন্য দুই প্রতিষ্ঠান এখনো শূন্য পদের তালিকা জমা দেয়নি।
যাচাই দেরির বিষয়ে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শুধু শূন্য পদের তালিকা যাচাই শেষ করেছে। অন্য দুই প্রতিষ্ঠান এখনো শূন্য পদের তালিকা জমা দেয়নি। আমরা প্রতিদিন অন্য দুই প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দিচ্ছি। ওই দুই প্রতিষ্ঠান দিচ্ছি দেব করলেও এখনো জমা দিচ্ছে না। এ জন্য আমরা বিপদে পড়েছি। বেশি চাপও দিতে পারছি না। যাচাই শেষ হলে দ্রুতই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, তালিকা যাচাই-বাছাই করতে দেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা করে শূন্য পদের তালিকা এলেই তা প্রকাশ করা হবে।