শিক্ষকদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা ডায়েরি
এবার শিক্ষকরাও ডায়েরি ব্যবহার শুরু করেছেন। পাঠ্যপুস্তকের নির্ধারিত সিলেবাস সম্পূর্ণ করা ও পরিকল্পিতভাবে নিয়মিত পাঠদানের সুবিধার্থে এ ডায়েরি ব্যবহার করছেন তারা। ফলে পাঠদানের বিষয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা অবগত থাকছেন খুব সহজে। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ফালাহিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষকদের ব্যবহৃত এ ডায়েরির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাঠ পরিকল্পনা ডায়েরী’। ২০১৯ সালের শুরুতে এ ডায়েরি ব্যবহার শুরু করেন মাদ্রাসাটির শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষকরা পরিকল্পিতভাবে নিয়মিত পাঠদান করতে পারছেন। কোনো শিক্ষক ছুটিতে থাকলে কিংবা অনুপস্থিত থাকলেও পাঠদানের বিষয় অপরিবর্তিত থাকছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডায়েরি মিলিয়ে নির্ণয় করতে পারছেন পাঠদানের অবস্থা। এছাড়াও শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন বিষয় এ ডায়েরি নোট রাখতে হয়। যা প্রতিমাসে কিংবা সপ্তাহে তদারকি করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্তৃপক্ষ। বাড়তি দায়িত্ব হলেও ডায়েরি ব্যবহারের ফলে কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
মান্দারী ফালাহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, পাঠ পরিকল্পনা ডায়েরি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন পাঠদানের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট রাখতে পারি। ফলে যথাসময়ে আমরা পাঠ্য সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে পারবো। শিক্ষার্থীরাও ধারাবাহিকভাবে পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি অধ্যায়ের ক্লাস পাবে। এটা খুবই সুন্দর ও কার্যকর একটি পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মান্দারী ফালাহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এটা আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকদের কর্মক্ষমতা বেড়েছে। পরিকল্পিত পাঠদান নিশ্চিত করার এই পদ্ধতি কার্যকর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।