গ্রন্থাগার থেকে বহিরাগতদের আটক করেছে ঢাবি

ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে বহিরাগতমুক্ত করতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। ওই অভিযানে ধরা পড়েছে আটজন বহিরাগত শিক্ষার্থী। 

সোমবার ( ৮ আগস্ট) সকাল  ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়। 

জানা গেছে, বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ঢাবির শিক্ষার্থীদের সাথেই প্রবেশ করেছেন। ঢাবি কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে গ্রন্থাগারে নিয়ে আসেন। এতে করে বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন সংকটে পড়তে হয়।

শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন সংকট হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ অভিযান পরিচালনা করে। বিষয়টিকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের তুলনায় গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। সেখানে আবার বহিরাগতরা আসলে আসন নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।

কর্তৃপক্ষের পরিচালিত অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

এদের মধ্যে নাবিলা জামান জ্যোতি লিখেছেন, আজকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরী থেকে বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এইটা শুনে ভালো লাগছে। কারণ, আমরা ওই বহিরাগতদের জন্যেই আমাদের প্রাপ্য অধিকার পাই না।

আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমদ ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, আমরা এমনই নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেক কম। সেক্ষেত্রে বহিরাগতরা আসলে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আজকে কর্তৃপক্ষের অভিযানে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের চাওয়া এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে। শুধু লাইব্রেরীকে না, ক্যাম্পাসকেও বহিরাগত মুক্ত করা উচিত। 

এ বিষয়ে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দিন মুন্সি বলেন, আমাদের স্টুডেন্টরাই ঝামেলা করে। তাদের রেফারেন্সে বহিরাগত বন্ধুবান্ধব ঢুকে পড়ে। 

তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষ কাজে কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটিতে আসছি। আমি বলে এসেছি অভিযান চালানো জন্য এবং কেউ ধরা পড়লে প্রক্টরের কাছে তুলে দেবে। ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আজকের অভিযানে আট জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে সেটা হবে না জানিয়ে।