মেলেনি প্রেমিকার সাক্ষাৎ, বরগুনা ত্যাগ করলেন ভারতীয় যুবক

খাঁ
প্রেমকান্ত

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না ভারতীয় সেই যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এবং প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে বরগুনায় আসেন ভারতীয় যুবক প্রেমকান্ত। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বরগুনার তালতলীতে আসেন তিনি। তবে কথিত প্রেমিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপ নিয়েই ফিরে যান তিনি। 

জানা গেছে, ‘গত ২৪ জুলাই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। এরপর কথিত প্রেমিকার দেওয়া তথ্যমতে বরিশালে আসেন। আসার পর প্রেমিকার সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। তবে তার প্রেমিকার আরেক প্রেমিক তাকে আটক করে মারধর করেন এবং প্রেমকান্তের টাকা নিয়ে যান। এরপর তিনি এয়ারপোর্ট থানায় বিষয়টি জানালে সেখানে তাকে আটকে রেখে পাঠিয়ে দেয়- এমনটাই দাবি ভারতীয় ওই যুবকের।’

আরও জানা গেছে, ‘এরপরে গতকাল বৃহস্পতিবার বরগুনায় আসেন তিনি। বরগুনায় রাত্রিযাপন করার পর শুক্রবার দুপুরে কথিত প্রেমিকার বাড়ির উদ্দেশে তালতলী আসেন তিনি। এরপর তালতলী ডাকবাংলোয় এসে ওঠেন তিনি। পরে কথিত প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘর তালাবদ্ধ, বাসায় কেউ নেই। সেখান থেকে তিনি পুনরায় ডাকবাংলোয় ফিরে আসলে সেখানে তাকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।’

আরও পড়ুন : ডিজেল-কেরোসিন-অকটেন-পেট্রোলের দাম সর্বোচ্চ বৃদ্ধি

তবে ক্যামেরা দেখলেই মুখ আড়ালে লুকান তিনি। ছবি-ভিডিও না নেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি। এমনকি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেননি। 

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘ভারতীয় ওই নাগরিক তালতলীর ডাকবাংলোয় এসে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি দেশে ফেরার কথা বলে তালতলী ত্যাগ করেন।’

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমকান্তর প্রেম হয় বরগুনার তালতলী উপজেলার এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে। তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর সরাসরি দেখা করতে গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসেন ভারতের তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্ত। এরপর প্রেমিকার নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশালে আসেন তিনি। 

ভারতীয় ওই নাগরিকের দাবি, বরিশালে তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হয়। এক পর্যায়ে প্রেমিকার আরেক প্রেমিক দ্বারা মারধরের শিকার হন তিনি। পরে প্রেমিকার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে বরগুনার তালতলীতে আসেন ওই যুবক। সেখানেও প্রেমিকার দেখা না পেয়ে আক্ষেপ নিয়েই তালতলী ত্যাগ করেন তিনি।