জিম্বাবুয়েকে ৩০২ রানের বড় টার্গেট দিল বাংলাদেশ

ক্রিকেট
ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারই হাফসেঞ্চুরি করলেন

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন সতর্ক। তবে উইকেট হারাননি। দুজনের ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় শক্ত ভিত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৮ হাজার রান করার পর তামিম ফিরলেও এনামুলকে নিয়ে লিটন যোগ করেন মাত্র ৪৫ বলে ৫২ রান। জিম্বাবুয়েকে ৩০৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ।

ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারই হাফসেঞ্চুরি করলেন। এর আগে ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কীর্তি দেখিয়েছিল টাইগাররা। সেই রেকর্ডেও ছিলেন মুশফিক আর বিজয়। সঙ্গে ছিলেন মুমিনুল হক আর ইমরুল কায়েস। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের চার ব্যাটারের এক ইনিংসে ফিফটি পাওয়ার ঘটনা এ নিয়ে চতুর্থবার।

ফিফটির পরপরই গতি বাড়ান লিটন। ৫০ পেরোনোর পর মাত্র ১৪ বলে করেন ৩১ রান। শতকের পথে এগোতে থাকা লিটনকে উঠে যেতে হয় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। এ ম্যাচে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।

লিটনকে ওই সময়ে হারালেও বাংলাদেশের সমস্যা হয়নি খুব একটা। তিন বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক ও মুশফিকুর রহিম যোগ করেন মাত্র ৭৬ বলে ৯৬ রান। এনামুল পুরো ইনিংসই খেলেন প্রায় একই গতিতে, শেষ পর্যন্ত ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন তিনি।

 এনামুল ৬২ বলে ৭৩ রান করে ফিরলেন। ক্যারিয়ারে ৫০ পেরিয়েছেন, এমন ইনিংসগুলোতে এটিই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। এর আগে কখনোই ৫০-পেরোনো ইনিংসে ১০০ বা এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেননি তিনি। সর্বোচ্চ ছিল ৮২.৭৫, ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৫ বল খেলে করেছিলেন ১২০ রান। বিজয়ের ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার।

আরেও পড়ুন: দীর্ঘ তিনবছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেই ফিফটি বিজয়ের

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেটি মাঠের একেবারে কোণায়। ফলে একদিকে স্কয়ারের বাউন্ডারি বেশ ছোট। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা সেটি কাজে লাগিয়েছেন, আবার তামিমকে ফিরতেও হয়েছে ওদিকে খেলতে গিয়েই।

লিটন দাস দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮১ রানে এসে হঠাৎ পায়ে টান পড়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের।এমনই অবস্থা যে উঠে দাঁড়াতেও পারলেন না। ফলে স্ট্রেচারে শুয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।

এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৭৬ বলে ৯৬ রানের ঝড়ো এক জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়। ছক্কা মেরে ৪৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন বিজয়। ব্যক্তিগত ৭১ রানে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন ডিপ কভারে। কিন্তু এনগারাভার বলে সেই ক্যাচ ফেলে দেন মাদভেরে।