মারা গেলেন একসঙ্গে, জানাজাও একসঙ্গে

জানাজা
জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ

পরীক্ষার আগে একটু বিনোদনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে লাশ হয়েছেন ১১ জন। তাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। এই এলাকায় এখন চলছে শোকের মাতম।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের জানাজা শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাটহাজারীর খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে দুই জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে শান্ত শীল নামে একজনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মধ্যে শনিবার সকালে সজীব, রিদোয়ান, মোস্তফা নিরু, সামিরুল ইসলাম, ও হাছানের জানাজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়াও হাটহাজারীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন অংশ নেন। নামাজে অংশ নেওয়া সবাই ছিল শোকে বিহ্বল। 

জানাজায় অংশ নিতে জাহেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একই এলাকার ১১ জন মারা গেছে। আমরা সবাই শোকাহাত। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাতবাসী করেন।’’

মোহাম্মদ ইমন বলেন, আমাদের জন্য দিনটি শোকের। দুর্ঘটনায় কারো অবহেলা ছিল কিনা, তা তদন্ত করে বের করা উচিত। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ৬ জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে।