ধানক্ষেত থেকে পোকামাকড়ে খাওয়া নবজাতক উদ্ধার

শিশু
নবজাতক জীবিত উদ্ধার

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার গৌরীপুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে মেয়ে নবজাতক জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এসময় নবজাতকের শরীরে পোকামাকড়ে খাওয়া অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। উদ্ধারের পর রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসার জন্য নবজাতকটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নবজাতকটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তি বলেছেন, মেয়েশিশুটি বেঁচে গেলে তিনি দত্তক নিতে চান।

শুক্রবার(২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ধানক্ষেত থেকে মেয়ে নবজাতক (৪ দিন) অনুমান বয়স নবজাতকটি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রোববার রাত ২ দুইটার দিকে ঢামেকের ২১১ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। 

নবজাতকটি নিয়ে আসা মো. মানিক মিয়া জানান, আমার চাচাতো ভাই মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। পরে ধানক্ষেতের মধ্যে কান্না শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন  পায় একটি ফুটতে নবজাতক মেয়ে।  শিশুটির নাক ও মাথার পেছনের কিছু অংশ ইঁদুর ও পোকামাকড় কামড়িয়ে ক্ষত করে ফেলেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে গেলে ওইখান থেকে আমরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। ওইখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি ও আমার স্ত্রী লাকি আক্তার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। 

আরও পড়ুন: বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না নিহত নর্থ সাউথ ছাত্রের

তিনি আরো বলেন, নবজাতকটির নাকের কিছু অংশ পোকামাকড় খেয়ে ফেলেছে। চিকিৎসক জানিয়েছে অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সুস্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার কোন কন্যা সন্তান নেই আমার চারটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমি এই শিশুকে নিতে ইচ্ছুক। কর্তৃপক্ষ আমাকে শিশুটিকে ভরণপোষণের দায়িত্ব দেয় আমরা হাসিমুখে তা গ্রহণ করবো।  

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘নবজাতকটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওজন ১ কেজি ৭০০ গ্রাম। আমাদের চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ(পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে সুস্থ করতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।