রেলওয়ের সঙ্গে যেভাবে কাজ করবেন মহিউদ্দিন রনি

মহিউদ্দিন রনি

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে হাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন রনি। ১৮ দিন শেষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টানা ৪ ঘণ্টা বৈঠকের পর গতকার সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। অনেকেই হয়তো ভাবছেন রনি রেলে চাকরি পেয়েছেন! কিন্তু না। তিনি কোন চাকরি পাননি। চাকরি না পেয়ে থাকলে তাহলে কিভাবে কাজ করবে এই প্রশ্নটা সবার মনে জাগতেই পারে।

মূলত তিনি রেলওয়ের ত্রৈমাসিক অংশীজন সভায় অংশগ্রহণ করে পরামর্শ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। রেলওয়ের অংশীজন সভায় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রী, যাত্রী কল্যান সমিতির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত /অভিযোগ প্রদান করে থাকেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের তিন মাস অন্তর অনুষ্ঠিত হওয়া অংশীজন সভায় অংশগ্রহণ করে যাত্রীসেবা উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে মহিউদ্দিন রনিকে এবং এটির জন্য তাকে কোন অর্থ প্রদান করা হবে না। 

আরও পড়ুন: নগ্ন ফটোশুটে নারীদের অনুভূতিতে আঘাত, রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা

রেলওয়ের অংশীজন সভায় উপস্থিত থেকে তার দাবি সরাসরি বলার ও যাত্রীসেবার উন্নয়নে কাজ করতে পারার বা ভূমিকা রাখার এই সুযোগকে অনেকে তিনি রেলওয়েতে চাকরি পেয়েছেন কিংবা তাকে চাকরি দেয়া হয়েছে হিসেবে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন রনি। শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও তার সঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান নেন। ক’দিন ধরে সেখানে তারা গান, কবিতা, পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

রনির দাবির সঙ্গে রেলওয়েও একমত জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, রেলের টিকিট সিস্টেম আরও উন্নত করা হচ্ছে। রনির দাবির সঙ্গে রেলওয়েও একমত। সিস্টেম উন্নত করার নির্দেশ দিয়ে সহজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ই-টিকিটিং সিস্টেম উন্নত করার কাজ চলছে।