মুহূর্তেই পদ্মার বুকে বিলীন চরের একমাত্র বিদ্যালয়

নদীর ভাঙনে ধসে পড়া বিদ্যালয় ভবন

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর চরাঞ্চলে কোটি টাকা ব্যয়ে এমপিওভুক্ত ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা স্কুল ভবনটি পদ্মার তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে।  

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুরো ভবনটি পদ্মার গর্ভে চলে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী আওলাদ হোসেন বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্কুলের কাছাকাছি হাতিঘাটা এলাকায় পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে পূর্ব পাড়ার আশ্রয় প্রকল্পের ১০টি ঘরসহ পাঁচটি বাড়িও পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী আওলাদ হোসেন বিপ্লব জানান, ২০০৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৪০০। নদীগর্ভে বিলীনের শঙ্কা দেখার জাগার পর ছয় কিলোমিটার দূরে এনায়েতপুর গ্রামে ৮৯ শতাংশ জমি কেনা হয়। সেখানে পরবর্তী স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। বিদ্যালয়টি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে ৪৮ শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার একাদশ শ্রেণীর এক প্রশ্নে ৩০ ভুল!

তিনি আরও জানান, চরাঞ্চলের একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় ছিল এটি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিকে দায়ী করেন। যেসব শিক্ষার্থী গত সপ্তাহে স্কুল করেছে। আজ সেখানে অথৈ পানি দেখা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন  বলেন, ভাঙন এলাকায় দুইদিন আগে আমাদের প্রতিনিধি পরিদর্শন করেছেন। স্কুলটি ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় আমরা দেড় বছর আগেই স্কুল ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধও ছিল।  

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এইএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুল ভবনটি পদ্মার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।