শাহ জালাল-শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেটের হযরত শাহ জালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করেন। এসময় তিনি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া মোনাজাত করেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সকাল ৮টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান পরে সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

আরও পড়ুনঃ ‘আল্লাহর দেয়া দুর্যোগ তো মোকাবেলা করা যায় না, আমরা মানুষের পাশে থাকব’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্যা মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য ও ওষুধ লাগে সব দেওয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন, তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ও বিরোধী দল সব অবস্থাতেই সবার আগে দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়। আমি বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষ। বন্যায় আমাদের বসবাস। আমি বন্যাকবলিত মানুষের কষ্ট বুঝি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী ছিলেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমাণ্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের চারজন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য চারজন।