নেচে-গেয়ে বন্যার্তদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা

নাচে-গান বন্যার্তদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা
নাচে-গান বন্যার্তদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা

পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। সন্তানকে পাত্রে তুলে ভেসে বেড়াচ্ছে মা। এমনকি খাদ্য ও বাসস্থান সংকটে কাঁদছে মানুষ। স্বরণকালের এমনি ভয়বহ বন্যায় বিধ্বস্ত দেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চল। রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে বানভাসি এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেচে-গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন স্বরব্যঞ্জ নামে একটি সংগঠন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে টুকিটাকি চত্বরে ডোল, তবলা, গিটার হাতে জড়ো হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। পাশে বানভাসি মানুষের জন্য সাহায্য চেয়ে করা প্ল্যাকার্ড ও দানবাক্স নিয়ে দাঁড়িয়েছে কেউ। অন্যদিকে গান গেয়ে সাহায্যে কথা বলছেন শিল্পীরা।

উপস্থিত জাবেদ পাটোয়ারী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখি সুন্দর গান হচ্ছে। তাই একটু দাঁড়ালাম। পরে শুনি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে গান করছেন তারা। জেনে আরো ভালো লাগল। আমিও কিছু সহযোগিতা করেছি। তাছাড়া এমন উদ্যোগের সাধুবাদ জানান এ শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: নিরাপদে আছেন সুরমা নদীতে আটকে পড়া সেই শিক্ষার্থীরা

এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন আল আজাদ বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ও সিলেট ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। সেখানে মানুষের জীবন বিপন্ন। ব্যাপক অর্থের ক্ষতি, খাবার ও বাসস্থান সংকটে রয়েছেন তারা। তাই দেশের অন্যদের মতো ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও তাদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, আজকে দুপুরে শুরু হয়েছে, এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ভালো সাড়া ফেলেছে আমাদের কার্যক্রম। আমরা তিনদিন এমন গানের মাধ্যমে অর্থসংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাব। আশা করি একটা ভালো পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে বানভাসিদের পাশে দাঁড়াতে পারব। এছাড়া সকলকে কমবেশি সহযোগিতার হাত বাড়িযে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

‘স্বরব্যঞ্জ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গড়া একটি গানের ব্যন্ড। ২০১৪ সালে এ ব্যন্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পথে ঘাটে মানুষের জন্য গান করার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে থাকেন তারা।