টেনেটুনে এসএসসি পাস, তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞ তিনি!

আটক
প্রতারককে আটক

ডাক্তারি পেশায় নেই কোনো সনদ কিংবা ডিগ্রি। টেনেটুনে পড়ালেখায় এসএসসি পাস। অথচ তিনি বনে গেছেন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক ও সার্জন। নাম তার সঞ্জয় কুমার নাথ (৪৮)। 

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে অনেক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না হয়েও তিনি করে আসছেন চক্ষু চিকিৎসা। নিজেকে তিনি এমবিবিএস, এমডি (অফ), এমইপিএফ (আমেরিকা) বলেও পরিচয় দিতেন। অনেক জটিল রোগের অস্ত্রোপচারও করেছেন সঞ্জয়। তবে শেষ রক্ষা হলো না।

আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটের মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান থেকে ভুয়া এই চিকিৎসককে হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব ৭-এর একটি দল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া ডাক্তারি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। আটক সঞ্জয় নগরের বহদ্দারহাট এলাকার জহরলাল নাথের ছেলে।

র‌্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠান খুলে চিকিৎসার নামে নিরীহ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন সঞ্জয়- এমন অভিযোগ ছিল তাদের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বহদ্দারহাটের সেই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আটকের পর সঞ্জয় নিজেকে 'ভুয়া ডাক্তার' হিসেবে স্বীকার করেছেন। চিকিৎসা পেশায় কোনো ডিগ্রি বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই দীর্ঘদিন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

সঞ্জয় দীর্ঘদিন এমবিবিএস, সার্জিক্যাল ডাক্তার সেজে নিরীহ রোগীদের অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন। প্রতারণার অংশ হিসেবে তিনি একাধিক স্থান পরিবর্তন করে চেম্বার করতেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে রোগীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এমন প্রতারণার মাধ্যমে তিনি সমাজে পেশাদার ডাক্তারদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। তার এমন কাজে আর কে বা কারা জড়িত সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক সঞ্জয়কে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব ৭-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।