দেশসেরা স্কুল রাজশাহীর পিএন, কলেজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল

স্কুল
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ

চলতি বছরের দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বুধবার (১৬ জুন) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এ বছর স্কুলপর্যায়ের সেরা নির্বাচিত হয়েছে রাজশাহীর সরকারি পি এন (প্রমথনাথ) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। আর কলেজপর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। এছাড়া কারিগরি বিভাগে সেরা হয়েছে রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
২০২২ সালের দেশের শ্রেষ্ঠ স্কুলশিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের তামিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান জাবেদা আক্তার জাহান, শ্রেষ্ঠ কলেজশিক্ষক হয়েছেন মানিকগঞ্জের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শ্রেষ্ঠ মাদরাসাশিক্ষক ডেমরার তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার প্রধান ড. মুহাম্মদ আবু ইউছুফ।

এছাড়া কারিগরি বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বিজয়ী হয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক
চলতি বছর স্কুলপর্যায়ে সেরা শ্রেণিশিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বরিশালের সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক মোসা. সেলিনা আক্তার, কলেজপর্যায়ে সাভার সরকারি কলেজের শিক্ষক ড. এ কে এম সাঈদ হাসান, মাদরাসা বিভাগে বরিশালের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পবন কুমার সরকার।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী
স্কুলপর্যায়ে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজপর্যায়ে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, মাদরাসাপর্যায়ে চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা ও কারিগরিপর্যায়ে লালমনিরহাটের সরকারি আদিতমারী গিরিজা শংকর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা সেরা নির্বাচিত হয়েছে।

শ্রেষ্ঠ জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
চলতি বছর শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলাপর্যায়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ভুঞা শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে, গত ৫-৬ জুন কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ ক্যাটাগরিতে সাংস্কৃতিক কারিকুলামসহ মোট ২১৩ জনকে ২০২২ সালের বর্ষসেরা ঘোষণা করা হয়।

সাংস্কৃতিক কারিকুলামের মধ্যে ছিল কেরাতপাঠ, হামদ/নাত, বাংলা রচনা, ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতা, ইংরেজি বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, বাংলা কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক (একক), দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র ও নজরুল, উচ্চাঙ্গ সংগীত, লোকসংগীত (ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, লালনগীতি), জারি গান (দলভিত্তিক), নির্ধারিত বক্তৃতা, নৃত্য (উচ্চাঙ্গ) ও লোকনৃত্য।

এতে দেশের ৯ বিভাগের প্রতিযোগিদের চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের হিসেবে মোট ১৮০ জনকে বিজয়ী হিসেবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় সারাদেশের মোট ৮৩৬ জন অংশ নেয়। এছাড়াও বিএনসিসি, রোভার, স্কাউট, গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার ক্যাটাগরিতে তিনজন করে ৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছরের মার্চে উপজেলাপর্যায়ের প্রতিযোগিতা দিয়ে শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতা-২০২২-এর আয়োজন শুরু হয়। সেখানে বিজয়ীদের জেলাপর্যায়ে, এরপর বিভাগীয় ও সর্বশেষ গত ৫ ও ৬ জুন ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২১৩ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট, মেডেল, সনদ ও ৫-১০ হাজার টাকা উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। এর বাইরে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা ও শিক্ষকদের ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’