নিরাপত্তা চাইলেন সেই বিজ্ঞানী!

ভারত
অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী

একই বিভাগের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী। 

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকটে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এতে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন অধ্যাপক ড. আশরাফ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। 

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় একাডেমিক কমিটির সভা শুরুর পূর্বে ইএসই বিভাগের তিন সহকারী অধ্যাপক মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রাকিবুল হাসান ও মো. আলিম মিয়া ৩ ঘণ্টা যাবত বিভাগটির প্রধান ড. আশরাফকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এছাড়া ড. আশরাফ তালা লাগানোর আগে বিভিন্ন রকমের হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও তুলেছেন এই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

এ ব্যাপারে ড. আশরাফ জানান, আমার সঙ্গে ক’দিন পর পর এমন আচরণ করে মো. নকিবুল হাসান খানের নেতৃত্বে এ ক’জন শিক্ষক। সোমবারের ঘটনা হত্যা চেষ্টার সামিল। আমার বয়স হয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে আমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। এমন কাজ তো শত্রুর সঙ্গেও করে না। আমার হার্টের সমস্যা বেড়েছে। ডান হাত অনেকটা অবশের মতো লাগছে এখনো। আমার নিরাপত্তা প্রয়োজন। তাই প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি এবং সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নিতেও অনুরোধ জানিয়েছি। 

তালা মারা ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবের জন্যে অভিযোগে নাম আসা দুই শিক্ষক মো. নকিবুল হাসান খান ও মো. রাকিবুল হাসান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য আরেক শিক্ষক মো. আলিম মিয়া বলেন, আমি এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। 

প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীকে অফিস কক্ষে আটকে রাখার ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত। প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত আসা মাত্রই এটি নিয়ে আমরা কাজ করবো। আর নিরাপত্তার একটি চিঠি এসেছে। প্রক্টরিয়াল বডির সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গতবছর অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন একদল গবেষক বিভিন্ন স্তরের মাটি ও পানির নমুনা সংগ্রহ করে জাপানে পরীক্ষার পর এই সন্ধান পান। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল সায়েন্স ডাইরেক্ট ডটকমে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে কক্সবাজারের ভূ-গর্ভস্থ মাটিতে থাকা জিরকন ও মোনাজাইটে ৯৯০ পিপিএম মাত্রারও বেশি ইউরেনিয়াম থাকার তথ্য প্রকাশিত হয়। যা দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়