জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা

জিরা শুধু খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
জিরা শুধু খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।

রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয়, শরীরের নানা সমস্যা সমাধানে গুণ সম্পন্ন। আপনার হজম ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি নানা রকমের পেটের রোগ সারাতে প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। 

একশ গ্রাম জিরায় ৩৭৫ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া এতে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ বেশি কিছু ভিটামিনও থাকে। জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুগন্ধি এই মশলাটি আমাদের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্ক কমে যায়। অ্যাজমা কমাতে ঠাণ্ডা প্রতিরোধে করে এবং ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও জিরার ব্যবহার হয়ে থাকে।

এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ জিরা ও কিছু আদা কুচি দিন। পানিটি ভালোমতো ফুটিয়ে নিন। দিনে তিনবার পান করুন। জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। আয়রন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি মাধ্যমে সেলুলার স্তরে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে।  

আরও পড়ুন:সুশান্তের চলে যাওয়ার দুই বছর

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সকালে খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জিরা ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে জিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স যেমন ঠিক হয়ে যায়,তেমনি পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাডপ্রেসার কমতে শুরু করে।জিরার ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এনার্জি এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ক্লান্তি দূর করে।