ছাত্রলীগের মারধরের পর পদত্যাগ করলেন ছাত্র অধিকারের নেতা

চবি
তামজিদ উদ্দিন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নেওয়া হলে সহকারী প্রক্টর তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

মারধরের শিকার ওই ছাত্রের নাম তামজিদ উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তামজিদ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে পুলিশ জানিয়েছে। ছাত্রলীগের দাবি, তামজিদ সরকার বিরোধী এবং উষ্কানিমূলক পোস্ট করে ফেসবুকে।

আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী পোস্ট, চবি ছাত্রকে মারধর ছাত্রলীগের

জানা যায়, আজ সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে প্রক্টর কার্যালয়ে তামজিদকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তামজিদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্র অধিকারসহ সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রাখার ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেন, আমি স্বজ্ঞানে অধিকার পরিষদ নামক রাজনৈতিক সংগঠন থেকে অব্যহতি নিলাম! দয়া করে কেউ প্রশ্ন করবেন না! যাবতীয় যত বিরোধী কর্মকাণ্ড আছে সব থেকে অব্যহতি নিলাম! আসলে আমি একটা ভুলের মধ্যে ছিলাম! জীবন চলার পথে শুধু পড়াশোনা থাকুক! কার ও সাথে কোন ঝামেলা হয় নাই।
 
চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ওই ছেলে শিবিরের সক্রিয় কর্মী। বিভিন্ন সময় সরকার, ছাত্রলীগ, প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছে। আমাদের ছেলেরা জানতে পেরে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এক ছাত্রকে শিবির সন্দেহে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। ছাত্রটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। আমরা যাচাই বাছাইয়ের পর পুলিশের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।